চট্টগ্রামে বাশঁখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকার গুনাগরী খাসমহলস্থ প্রধান সড়ক সংলগ্ন অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল দশায় পরিণত।অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু পরিমাণ কাদা-পানি এ রাস্তার জমাট হয়ে থাকার কারণে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হওয়ার আশংকা রয়েছে।
রবিবার( ২১ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরি খাসমহল এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পাশের ড্রেজারের ব্যবস্থা না থাকার ফলে পানি চলাচল করতে না পারায় সড়কটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়।গুনাগরী খাসমহল হইতে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি গর্ত হলেও সংশ্লিষ্টদের এখনো নজর পড়েনি। ফলে এলাকার স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী,পথচারীরা পড়েছে বিপাকে।বিশেষ করে রাতের বেলায় অনেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন, ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়নের লোকসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সমুদ্র সৈকত দেখতে আসা হাজার হাজার পর্যটক যাতায়াত করে থাকে।
এছাড়া ওই সব গ্রামের কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার কাঁচা তরকারি বাজারজাত করতে এ সড়ক টি ব্যবহার করে থাকেন। পশ্চিম বাঁশখালী এলাকার ও স্থানীয় গাড়ি চালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,বেশ কয়েক বছর যাবত এ রাস্তা অসংস্কার অবস্থায় পরে আছে।কিছু দিন আগে কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহাদত আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেরামত করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতে আবারও সেই আগের মতো সড়কটি গর্তে পরিণত হয়ে পড়ে থাকায় চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনো পযন্ত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।তারা আরও জানান বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত হওয়ায় পুরো চট্টগ্রামের মানুষের জন্য সড়ক টি দ্রুত সংস্কার অত্যান্ত জরুরী। স্থানীয় গাড়ি চালকসহ পশ্চিম বাঁশখালী এলাকার জনসাধারণের একটাই দাবি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যেনো অতি দ্রুত সংস্কার করে দিয়ে স্থানীয় ও পশ্চিম এলাকার মানুষ গুলি যেনো নিরাপদে চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতনমহল।
পরে এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তারের কাছে জানতে চেয়ে ওনার উপজেলা অফিসে গেলে পাওয়া যায়নি, পরে ওনার ফোনে অনেক বার ফোন করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
0 মন্তব্যসমূহ