মোহাম্মদ এরশাদঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা হাসপাতাল গেট হইতে সেলিনা আক্তার শেলী (২২) নামক এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার। হত্যা না কি আত্নহত্যা এ নিয়ে চলছে নানা কথা। আনোয়ারা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার পর মর্গে প্রেরণ করেছে।
আজ বুধবার (২৪ জুন) ভোর ৫ টায় হাসপাতালের গেটে মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আনোয়ারা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্বার করে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। মরদেহের গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। পরনে নীল রঙের সেলোয়ার কামিজ ছিল।
আনোয়ারা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো.এমরান বলেন, ভোরে খবর পেয়ে আনোয়ারা হাসপাতাল গেট থেকে মহিলার লাশটি উদ্ধার করি। লাশের গলায় দাগ থাকলেও কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানা যাবে। মরদেহটি কে বা কারা হাসপাতালের গেটে ফেলে গেছে, এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
উপ পুলিশ পরিদর্শক এমরান আরো বলেন,স্থানীয়রা জানিয়েছেন মরদেহ পাওয়া মহিলা দ্বিতীয় সংসার করছিলেন। ২ বছর আগে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মিঠাছড়ি গ্রামের মালুমঘাট এলাকার মোহাম্মদ নোমানের পুত্র সাকিবের সাথে। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের জেবল হোসেনের মেয়ে এই সেলিনা আকতার।
স্বামী স্ত্রী দুজনই কেইপিজেডে চাকরি করতেন। বৈরাগ তেলের দোকানের এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছেন।আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ