নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এই দৃশ্য পদ্মা, মেঘনা, যমনুা ও কর্ণফুলী নদী কিংবা বঙ্গপসাগরের কোন মোহনার দৃশ্য নয়, এটি বাশঁখালীর গন্ডামারা ও পশ্চিম বড়ঘোনার ১নং ও ৪নং ওয়ার্ডের মাঝা মাঝি সংযোগ সড়ক চার পাশ এলাকার দৃশ্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ বিগত শত বছরে প্রাকৃতিক বড় ধরনের দুর্যোগ ছাড়া দেখেনি এ রকম জলঝড়ের দৃশ্য। পানি- বন্দী হাজারো পরিবার। দেখবাল করার কেউ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ১ নং ওয়ার্ডের মেস্বার আলী নবী থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন পূর্বে যেসব জায়গা দিয়ে গন্ডামারা ইউনিয়নের পানি চলাচল করত, বর্তমানে সিংহভাগ জায়গা এস আলমের দখলে এবং পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে জলঝড় সৃষ্টি হয়েছে।।
তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যান কে অবগত করব এবং এস আলমের সাথে কথা বলে সংকট উত্তরনের চেষ্টা করব। দীর্ঘ বৎসর ১নং ও ৪নং ওয়ার্ডের মাঝা মাঝি সংযোগ সড়কটি( মাতাব্বর সড়ক) কাজ করা হয়নি কেন জানতে চাইলে উত্তরে বলেন চেয়ারম্যান সাহেব ভালো জানেন। বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম পাওয়ার প্লান্ট নামের দেশের বৃহত্তম কয়লা ভিক্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান।
এই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে।। বিশেষ করে গন্ডামারা পশ্চিম বড়ঘোনার মাঝা মাঝি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন মাতাব্বর সড়ক টি দীর্ঘ বৎসর কাজ করা হয়নি ফলে বর্তমানে সড়কটি বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে রহস্যজনক ভাবে নিরব। বর্ষা আসলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুব কটিন হয়ে পড়ে। হাটু পরিমান কাদাঁ মাটি, কোথাও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সড়কটির চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।। মানবেতর জীবন যাপন করছে এই জনপদের বাসিন্দারা।। এখানেও সুর্যোদয় হয় অস্ত যায় পশ্চিম দিখে, কিন্তু ললাটে জুটেনে সড়কের উন্নয়নের ছোঁয়া। এই ধরনে সড়ক ডিজিটাল বাংলাদেশে আরেকটি খুজে পাওয়া কটিন হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন আমাদের উপর মরার উপর খরার ঘা। এমনিতে নাই রাস্থা ঘাট, তার মধ্যে পানি -বন্দী হয়ে পড়লাম। চলাপেরা করতে পারছিনা,কতক্ষণ ঘরে থাকা যায়। কোথায় যাব তাও বুঝতে পারছিনা।। আমাদের বাপ দাদাও দেখেনি এ বেহাল দশা। ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিন চৌধুরী বলেন আমাদের ইউনিয়নের প্রায় জায়গা বর্তমানে পানি- বন্দী অবস্থায়, বিশেষ করে ১ নং ৩নং, ৪নং ও ৫ নং ওয়ার্ড়ের বাসিন্দরা পানি- বন্দী অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন পানি যাওয়ার সককটি পথ বন্ধ। পানি নির্গমণের জায়গাটি যদি এস আলম কর্তৃপক্ষ মানবিক হয়ে খুলে দেয় তাহলে হাজার হাজার মানুষ পানি- বন্দী থেকে রক্ষা পাবে।নচেত এই বর্ষা মৌসুমে পুরো ইউনিয়নেরে মানুষ পানি- বন্দী অবস্থায় থাকবে।। এ সময়ে বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা বোধ করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন পানি যাওয়ার পথ যদি এস আলম খুলে না দেয় তাহলে পশ্চিম বড়ঘোনা ও গন্ডামারা বেশিভাগ জায়গা এই বর্ষা মৌসুমে পানিতে থলিয়ে থাকবে।
এলাকার সাধারণ মানুষ মানবিক বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ চায়। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাজারও পরিবারকে পানি বন্দী থেকে মুক্ত করবে এমনটা প্রত্যাশা সবার।
0 মন্তব্যসমূহ