মোহাম্মদ এরশাদঃ
চট্টগ্রামে ঈদ সামনে রেখে পকেটমার ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান-মলম পার্টির তৎপরতা বেড়েছে বাস ও সিএনজি স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে।গাড়ীতে যাত্রী সেজে এ কাজ করছে এবং যাত্রী সাধারণ এ খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটছে চট্টগ্রাম উপজেলার বাঁশখালীতে। এরা চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করছে।ঈদ সামনে রেখে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠছে পকেটমার ও ছিনতাইকারী অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যরা। এ সুযোগ কে কাজে লাগাচ্ছে বাস ও সিএনজিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে। সহজ-সরল মানুষকে লক্ষ্য করে এ কাজ করছে।আর প্রতারিত মানুষ সর্বস্ব হারানোর পাশাপাশি জীবন হারানোর মতো ঝুঁকিতেও পড়ছেন। ইতিমধ্যে ২/৩ জন মানুষ অজ্ঞান ও মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার তথ্য আমার কাছে এসেছে।
বাঁশখালী পৌরসভা জলদির সৈয়দ বাহার উল্লাহ পাড়া (বাইঙ্গা পাড়া মাদরাসার পাশে) প্রধান সড়কে শুক্রবার ২৪ জুলাই সকাল ১১ টার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৭নং সরলের পূর্ব জালিয়াঘাটা এলাকার আবদুল লতিফ এর স্ত্রী নুর বেগম(৬০) প্রতিবেদককে বলেন, আমি সৈয়দ বাহার উল্লাহ পাড়া মেয়ের শশুর বাড়ী থেকে ফেরার পথে এমন ঘটনার শিকার হয়েছি।গাড়ীতে ওঠার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। একটি সিএনজি সামনে দাঁড়ায়।ভিতরে পিছনের সিটে একজন পুরুষ ছিল।আমি মহিলা মানুষ ওঠতে বিব্রতবোধ করিলে ড্রাইভার পিছনে বসা লোকটিকে বলেন কমিশনার সাহেব আপনি একটু সাইডে যান।তারপর গাড়িতে ওঠি পাইরাং হইট্টাল তলার যাওয়ার জন্যে।আমাকে অচেতন করে কোথায় নামিয়ে দিয়েছে আমি জানিনা। আমার একটি হাত ব্যাগ ছিল। ব্যাগে থাকা ১ জোড়া কানের দুল,১টি আংটি,দামী ১টি ঘড়ি,১টি মোবাইল এবং ক্যাশ টাকা ২২০০০ টাকা ও ভোটার আইডি কার্ড সহ ব্যাগটি খোয়াইয়ে নিয়ে গেছে। পরে আমাকে চিনে এমন আরেকজন সিনএনজি ড্রাইভার আমাকে ফের মেয়ের বাড়ীতে পৌঁছিয়ে দেয়। ভুক্তভোগী নুর বেগমের ছেলে মাওলানা সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের পরিচিত এক সিএনজি ড্রাইভার চেচুরিয়া প্রধান সড়কে একপাশে হালকা অচেতন অবস্থায় হাঁউ মাও করিতে দেখিলে আমার মাকে ফের আমার বোনের বাড়ীতে পৌঁছে দেয়। আমার মায়ের কাছে থাকা মুল্যবান কাগজ পত্র,স্বর্ণ,মোবাইল ও ক্যাশ টাকা সহ প্রায় ১ লক্ষ টাকার জিনিস পত্র নিয়ে গেছে। এভাবে আরো একবার আমার মা ঠিক একই জায়গায় মলম পার্টির খপ্পরে এমন ছিনতাই এর শিকার হয়েছিল।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানায়, ঈদকে টার্গেট করে পকেটমার ও ছিনতাইকারী অজ্ঞান ও মলম পার্টির চক্র সক্রিয় রয়েছে।
তাদের সদস্য সংখ্যা অন্তত ৬/৭ জন হবে।তারা যাত্রী বেশে যাত্রীদের অজ্ঞান করে সবকিছু হাতিয়ে নেয়। কখনো চোখে বিষাক্ত মলম লাগিয়ে দেয়। যাত্রীরা অজ্ঞান ও অচেতন হয়ে গেলে সুযোগ বুঝে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এমন অসৎ কাজে কিছু অসৎ সিএনজি ড্রাইভারও জড়িত আছে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, এ ধরনের ঘটনা আগে একবার ঘটেছিল। বাঁশখালী থানা পুলিশ এবিষয়ে তৎপর হলে আর তেমন দেখা যায়নি। ঈদ সামনে রেখে এমনটি ঘটনা ঘটতে পারে। এমন একটি বিষয়ে অবগত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আমরা এবিষয়ে তদারকি করবো। এ চক্রের কোন সদস্য কে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। ধরতে পারলে কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে। এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে গাড়িতে চলাফেরায় সচেতন থাকতে ও অপরিচিত কারও দেওয়া কোন খাবার না খাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ