মোহাম্মদ এরশাদঃ
বাঁখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাঁশখালী পেকুয়া প্রধান সড়ক থেকে ৩ হাজার ৬শ’ পিস ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করেছে।আটককৃতরা বিশেষ পন্থায় ইয়াবাগুলো পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখায় তাদের প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে এক্সরে সহ শারীরিক পরীক্ষা করা হয় বলে থানা সূত্রে জানা গেছে ।জানা যায়, বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই আকতার হোছাইনের নেতৃত্বে সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সামনে গাড়ি থামিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং এলাকার মো. শাহ আলমের পুত্র মো. হেদায়েত (৩৬), মো. গোলাম হোসেনের পুত্র মো. মিঠুন (৩২) এবং রংপুর জেলার টাকপাড়া রংপুর সদর এলাকার মো. আলামিন (২২), মো. মারুফের পুত্র মো. রুবেলকে আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে পেটে প্যাকেটে ঢুকিয়ে রাখা ইয়াবা উদ্ধার করতে পুলিশকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাদের প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে গিয়ে এক্সরেসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পায়ুপথ থেকে সর্বমোট ৩ হাজার ৬শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় বাঁশখালী থানার ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) টেবিলের ১০(খ) ৪১ ধারা মূলে বাঁশখালী থানায় ৪৪ নং মামলা দায়ের করা হয়।উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বাঁশখালী-পেকুয়া সড়কে ইয়াবা পাচার আশংকাজনক হারে বেড়েছে। বিগত দিনে ছোট ছোট কয়েকটি চালান আটক করা হলেও অধরা রয়েছে যাচ্ছে তাদের গড়ফাদারেরা। আর এ কাজে ব্যবহার করা কিশোরী নারীদের।প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষের পাশাপাশি কিশোরীদের এ কাজে ব্যবহার করায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে অনেক সময় প্রকৃত ইয়াবা বহন ও পাচারকারী চিহ্নিতি করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাদের পেট থেকে ইয়াবাগুলো পায়ুপথ দিয়ে বের করে।” আটককৃতকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ