বাহারছড়া ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত বাহারচরা প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ ২০২০ ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, সাবেক ছাত্র নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী খোকন।খেলা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রধান অতিথি মঞ্চে বসে খেলা উপভোগ করেন, উক্ত খেলাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, জাতির জনক স্মৃতি সংসদ একাদশ বনাম, বাহারছড়া প্রজন্ম একাডেমি ফুটবল একাদশ।খেলা নির্ধারিত সময়ে ১-২গোলে জয়লাভ করেন জাতির জনক স্মৃতি সংসদ ফুটবল একাদশ।পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বক্তব্যে বলেন, বাহারছড়া সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকের উপস্থিতি দেখে মুগ্ধ হন, এবং এই ধরনের খেলাধুলা প্রতি বছর চালিয়ে নেওয়ার জন্য পরিচালনা কমিটি কে নির্দেশ দেয়, কারণ খেলাধুলা বিনোদন মানুষকে আনন্দময় করে তোলে, প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান আমাকে প্রধান অতিথি করে আনতে হবে না, আমি এমনিতেই খেলা উপভোগ করার জন্য দেখতে আসতাম, আমি দুই দলকে ধন্যবাদ জানাই দুই দলই খুব দুর্দান্তভাবে আজকের খেলা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন,দুই দলই ভালো খেলেছে ভবিষ্যতে আরো ভালো খেলবে, এই ধরনের খেলাধুলা ধরে রাখার জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা সহযোগিতা করতে হয় আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে করে যাব, যখনই প্রয়োজন হবে আমাকে তোমরা জানাবে ইনশাআল্লাহ আমি সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করতে চেষ্টা করব। উক্ত ফুটবল খেলায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন, কোতোয়ালি থানা সিএমপি, সহকারি উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন।
জয়নাল আবেদীন ওনার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান আমাকে সব ধরনের সামাজিক কার্যকলাপের কর্মকাণ্ডের মধ্যে যখনি বলবেন আমি তখনই সাড়া দেব ইনশাআল্লাহ, বর্তমান ইয়ং জেনারেশন নেশার প্রতি আসক্ত হচ্ছে, এ ধরনের খেলাধুলা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে নেশার দিক ধাবিত হবে না, খেলাধুলা প্রতি আকর্ষিত হবে, সুন্দর সুশৃংখলভাবে খেলা পরিচালনা করার জন্য পরিচালনা কমিটির নির্দেশনা দেয়, এবং উনার পক্ষ থেকে খেলা ধুলার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সহায়তা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন, তিনি আরো বলেন বাহারছড়া সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকের উপস্থিতি দেখে, বাহারছড়া বাঁশখালী, সমুদ্র সৈকত কে অতিশিগ্রই পর্যটক হিসেবে সরকারিভাবে ঘোষণা করার জন্য প্রাণের দাবি জানান। এবং পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থা কক্সবাজারের মত যদি ভালো হত,ভালো রেস্টুরেন্ট, হোটেল, থাকার জায়গা যদি ব্যবস্থা থাকত, তাহলে, কক্সবাজারের কোন অংশেই কম হতো না বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিম বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতকে,উনি আরো বলেন প্রতিনিয়ত প্রতি সপ্তাহে প্রতি মাসে আমাদের পশ্চিম বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে যেসব পর্যটক আসে এত পর্যটক কক্সবাজারেও যায় না তাই, বাংলাদেশের দ্বিতীয় কক্সবাজার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতকে। উক্ত খেলাই বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা মাস্টার সাইফুদ্দিন। বিশিষ্ট প্রবাসী-রাশেদুল ইসলাম। সাবেক ছাত্রনেতা-এম এস্তেফাজুর রহমান আরফাত।বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ। ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক-আব্দুল মাজীদ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ফয়সাল জামিল চৌধুরি সাকি। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি- মঈন উদ্দিন চৌধুরী। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য নুরুল আবসার রাফি। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের সভাপতি আক্তার মিয়া।
বাহারছড়া ভিক্টোরিয়ান্স ক্লাবের মোহাম্মদ আবু নাঈম। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক উপ-সম্পাদক- মুহাম্মদ মুছা চৌধুরী।
সভাপতিত্ব করেন ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক -সেলিম উল্লাহ প্রমূখ।
0 মন্তব্যসমূহ