বিশেষ প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন যেন পাহাড় খেকোদের নিরাপদ স্থান পরিনত হয়েছে। এই ইউনিয়নের সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সমাজের নানান উপায়ে ২০/২৫ জনের সিন্ডিকেট তৈরি করে দিনে রাতে কাটা হচ্ছে পাহাড়। কখনো বনবিভাগের পাহাড় আবার কখনো কৃষি জমিতে নজর এসব সিন্ডিকেটধারী লোকদের। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও পরবর্তীতে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে সিন্ডিকেটধারী এসব লোকজন। ক্ষমতা ধর ব্যক্তি তাদের সেল্টার দেন বলে অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী।
সূত্রমতে, চাম্বল ইউনিয়নের জঙ্গল চাম্বলের মোড়ার উপর, ধুইল্যাছড়ি, বেড়া পাড়া, বাছিরা ঘোনাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় এবং কৃষি জমি কাটছে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাছিরের নেতৃত্বে। খোদ যেখানে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে পাহাড় এবং অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ করবে সেখানে তার নেতৃত্বেই চলছে পাহাড় এবং মাটি কাটা। এই ইউপি সদস্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের আপন মানুষ হওয়াতে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে এসব করে যাচ্ছে। পরিবেশ বিরোধী নিয়মিত কাজ করে গেলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের পরিবেশ আইনে মামলা নেই।
সড়কের রাস্তা দিনের পর দিন খারাপ হলেও কারো মাথা ব্যথা নেই। করোনার এই কঠিন মুহুর্তে ধুলূ বালিতে যেন অতিষ্ট সাধারন মানুষ।
এদিকে জঙ্গল চাম্বল, বেড়া পাড়া বাছিরা ঘোনা এলাকায় কৃষি জমিতে দিন দুপুরে মাটি কেটে আসছে মেম্বার নাছিরের নেতৃত্বে চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের খালোতা ভাই মিন্টু, মেম্বারের নাতি জুয়েল। দিন-রাতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ডাম্পার গাড়ি নিয়ে মাটি বিক্রি করছেন মিন্টু। এসব টাকা সরাসরি নিচ্ছেন চেয়ামর্যানের খালাতো ভাই নামধারি মিন্টু নামে এই ব্যক্তি। বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এই মিণ্টু নিজেকে বড় ক্ষমতাভান মানুষ পরিচয় দেন। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে চেয়ারম্যানের ভাই বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
এই দুইজন ব্যক্তি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিয়মিত পাহাড় এবং মাটি কেটে আসছে। স্থানীয় জাফর আলম এবং এজাজ আলীর কৃষি জমি ক্ষমতার দাপড় দেখিয়ে মাটি ক্ষনন করার যত্র দিয়ে কেটে আসছে। যদিও এসব বিষয়ে এই প্রতিবেদক তাদের দুইজনের সাথে কথা বললে তারা দুইজনই এসব বিষয়ে জানেন না বলে অভিযোগ করেন। তাদের মধ্যে এজাজ আলী মেম্বার নাছিরের কাছ থেকে কিছু টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এসব বিষয়ে নিয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি এসব বিষয় অস্বীকার করেন।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, যেখানে মাটি কাটার অভিযোগ তুলছেন সেখানে মাছের ঘের করা হচ্ছে। যদিও কোন দপ্তর থেকে লিখিত কিংবা মুখিক অনুমতি নেয়নি তারা।
এদিকে চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই পরিচয় দেয়া মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি তার বিরুদ্ধে মন যা চাই লিখুন এবং তার বিরদ্ধে কেউ মামলার দেয়ার সাহস নেই বলে ফোন কেটে দেন।
বিষয়টি নিয়ে বাঁশখালীর নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান,পরিবেশ নষ্টকারী যে কেউ হউক অব্যশই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ