নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব চালাতে গিয়ে এস আই শহীদের বিরুদ্ধে কয়েক খানা লিখিত অভিযোগ যায় পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের কাছে। বিভিন্ন সময় অপরাধী আর নিরাপরাধীদের উপর সমান হারে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসলেও মাত্র গুটিকয়েক ভিকটিম সাহস করে লিখিত ভাবে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর। এসব অভিযোগ গুলোকে কেন্দ্র করে সংবাদকর্মী মনছুরের সাথে এই এসআই শহীদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে অনেকবার এরকম নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছিল এস আই শহীদ, বিষয়টি বাঁশখালী থানার ওসি মো: কামাল উদ্দিনকে বেশকয়েকবার জানানো হয়েছিল।
মিথ্যা নাটকের দৃশ্যপট:
গত ২৭ মার্চ রাত ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের সদর আমিন হাটে প্রধানসড়কে সংবাদকর্মী মনছুর (এম আলম) এর বাইক গতিরোধ করে এস আই শহীদ। এসময় এসআই শহীদ অফ ডিউটিতে মোটরসাইকেল যোগে অবস্থান করেন। এসআই শহীদ তল্লাশির নামে মোবাইল ফোন, ব্লুথুত হ্যাডসেট, মানিব্যাগ সহ পকেটে থাকা নগদ ৯৫০০ টাকা ছিনাইয়া নেয়। পরে মনছুরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পরীক্ষাবিহীন মাদক সেবনের মিথ্যা সনদ সংগ্রহ করে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে, রামদাস মুন্সিহাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সোলেমান বলেন, সংবাদকর্মী মনছুর ২০/৫০ জন লোক নিয়ে প্রধান সড়কে মদ খেয়ে উশৃংখল করলে এসআই শহীদ মাদক সেবনের পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট সহ থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে কোন মাদক সংক্রান্ত পরীক্ষা হয় না, এরকম কোন যন্ত্রও তাদের কাছে নেই বলে নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পুলিশ আইনের পিআরবি-৩৩০ বিধি মতে, কোন সাংবাদিককে অভিযোগ কিংবা মামলা ব্যতীত পুলিশ হেফাজতে নিলে হাতকড়া লাগানোর বিধান নেই।
এছাড়া এরকম অসংখ্য মিথ্যা নাটকের নায়ক এই শহীদ। সামারি বাণিজ্য থেকে শুরু করে ক্ষমতার অপব্যবহার করার মত এমন কোন কাজ নেই এই এসআই শহীদ করে না। বিস্তারিত প্রমাণ সহ আসছে শীঘ্রই...
0 মন্তব্যসমূহ