অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট রাশেদ তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করাকালীন সময় ১৬ আগস্ট দিবাগত রাতে বাঁশখালী থানা পুলিশ অভিযানের নামে তল্লাশি চালায়। এসময় দরজা-জানালা ভেংগে ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশীর নামে তালাবদ্ধ আলমিরা ও ওয়ারড্রবে রক্ষিত জিনিসপত্র ভাংচুর করে। ইতিপূর্বেও রাশেদের ঘরে অভিযান চালিয়ে গাছ কাটার মেশিন সহ বেশকিছু জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এসআই শহীদ।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরে আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ডাকাতি সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানী হয়ে আসতেছি। এসব মিথ্যা মামলায় জামিনে থাকা সত্ত্বেও কোন ওয়ারেন্ট ছাড়া বাঁশখালী থানা পুলিশের হয়রানীর কারণে শান্তিতে বসবাস করতে পারছি না। এমনকি এলাকায় কোন বেআইনি ঘটনা ঘটলে পুলিশ আমার বাড়িতে এসে তল্লাশীর নামে ভাংচুর চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লোক জানান, রাশেদের ঘরে অভিযান পরিচালনা করার পর এসআই শহীদের সাথে দেখা হলে বলেন, রাশেদের ঘরে ভাংচুর করছি। এবার তাকে পেলে আরো মিথ্যা অস্ত্র-মাদক সহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দিবেন বলে হুমকি দেয়।
এঘটনায় রামদাস পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সোলাইমান জানান, আমি ও ফাঁড়ির পুলিশ সহ থানা থেকেও পুলিশ ছিল এই অভিযানে। কোন ভাংচুরের ঘটনা হয়নি, এসময় স্থানীয় লোকজনও ছিল। এদিকে সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোন্দকার মোঃ সালাহউদ্দিন কামাল ঘটনার বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ