স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মৃত আরেফুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে থাকতেন রাফিয়া বেগম। ভোরে আরেফুল কাদের এর বাড়ী সংলগ্ন পুকুরের ঘাটে রাফিয়া বেগম নামের ওই নারীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে নয়টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের বড় ছেলে মামুনর রশীদ জানান, আমার মা একজন প্রতিবন্ধী। তার এক পা ভাঙ্গা। বিগত ছয়মাস আগে থেকে আমার মা ছনুয়া মনুমিয়াজি বাড়ীর মৃত আরেফুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেখানে আছেন। আজ সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই আমার মায়ের খুন হওয়ার বিষয়। আমার মায়ের মাথায়, কপালে, মুখে কিরিচের দাগ দেখতে পাই। পুলিশ পুকুর ঘাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, কে বা কারা আমার মাকে খুন করেছে তা সঠিক জানি না। আরিফুল কাদের চৌধুরীর এক ছেলে গতকালকে শহর থেকে বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। সে আসার পর এই ঘটনা ঘটলো৷ আমার তাদের পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হচ্ছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।
বাঁশখালী থানার অপারেশন অফিসার রাজীব পোদ্দার বলেন, 'রাফিয়া নামের এক নারীর লাশ পুকুর ঘাট থেকে উদ্ধার করেছি। তার কপালে, মুখে, মাথায় চুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক'র মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
0 মন্তব্যসমূহ