সাংবাদিক গাজী গোফরান বলেন, সংবাদ প্রকাশের পরপর জাহাঙ্গীর মুঠোফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে হামলা, মিথ্যা ইয়াবা মামলায় ফাঁসানো সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় সংবাদের অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর। এমনকি দৈনিক সরকারের চট্টগ্রাম অফিসে এই জাহাঙ্গীর তার বড় ভাইদের নিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য আসবেন বলেও হুমকি দেয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাত মোবাইল নাম্বার 01739-089072 থেকে উকিল জসিম উদ্দিন পরিচয়ে সাংবাদিক গাজী গোফরানকে কল করে বলেন, আপনি কোন পত্রিকায় আছেন আপনার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক কিংবা সম্পাদকের ফোন নাম্বার দেন। তারকাছে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরকে আমি জামিনে বের করছি তাই আপনি নাকি আমাকে দেখে নিবেন বলছেন। এসময় গাজী গোফরান বলেন, এখানে দেখা নেওয়ার প্রশ্নইতো আসে না। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে তথ্য পেয়েছি তাই নিউজ করেছি, এখানে তাকে আমি দেখে নেয়ার কে। এটা বলার পর ঐ ব্যক্তি উকিল নোটিশ পাঠানোর পর আদালতে দেখা হবে বলে জানায়। এছাড়াও এই লোক আরো বলেন, আমি সাংবাদিকতার নাড়িনক্ষত্র দেখিয়ে দেব, আমাকে এখনো চিনতে পারো নাই।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী নিউজের সম্পাদক মো: মনছুর আলম বলেন, একজন সাংবাদিক তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করার আগে সবকিছু যাচাই করেন। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ করার পূর্বে তার বক্তব্য নেওয়া উচিৎ, সেক্ষেত্রে সাংবাদিক গাজী গোফরান সেটাই করেছে। আর এখানে একজন সাংবাদিকের দেখে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদিও যিনি উকিল পরিচয়ে ফোন করেছেন, তিনি বাস্তবে উকিল হলে বুঝা উচিৎ যে, একজন সাংবাদিকের কাজ কি উকিলের বিষয় নিয়ে কথা বলা? উকিল আর সাংবাদিক যারযার নিয়মানুযায়ী কাজ করবেন। এখানে কারো বিরুদ্ধে অপরাধ থাকলে সেটা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছেন। নিউজে যদি কোন ভুল থাকে অবশ্যই ভিকটিম উকিলের মাধ্যমে আইনি সহায়তা চাইতে পারে, তবে সেটা যেন হুমকির চলে না হয়। আর উকিল যদি নিজেই ভিকটিমের মত আচরণ করে তাহলে বিষয়টি রহস্যজনক। এছাড়াও এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর প্রকাশিত সংবাদের অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আমাকেও হোয়াটসঅ্যাপে কল সহ বিভিন্ন ধরণের বার্তা পাঠিয়ে উল্টাপাল্টা আচরণ করে যাচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ