জানা যায়, এই ঘটনার আগে নুর হোসেন গংদের অভিযোগ আমলে নিয়ে মীমাংসা করার লক্ষ্যে সরেজমিনে পরিমাপ করার জন্য ল্যান্ড সার্ভে নিযুক্ত করেন চেয়ারম্যান, কে এম সালাউদ্দিন কামাল। পরে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ এজাজের উপস্থিতিতে নিযুক্ত সার্ভেয়ারের দেখানো মতে মাটি খনন সহ খুটি স্থাপন করেন ৬নং ওয়ার্ডের চৌকিদার আবুল বাশার ও ৮নং ওয়ার্ড়ের মোস্তফা। তারা খুঁটিগুলো স্থাপন করে স্থান ত্যাগ করার পর আবারও ২টি সীমানা খুঁটি উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠে। বিষয়টি গ্রাম আদালত আমলে নিয়ে পরিমাপকৃত ভূমির কাগজ পত্র অনুযায়ী যার যার দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাদীপক্ষকে অন্তত ৮ বারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদ এ যেতে বলা হয়।
তারা উপস্থিত না হয়ে উল্টো গ্রাম আদালতকে অবহিত না করে আইন'কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গায়ের জোরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে দরজা জানালায় ফার্নিচারের কাজে ব্যবহৃত বনজ সৃষ্ট ফুল গাছের ডাল কাটে। কাটা ডাল গুলো প্রতিপক্ষ সাংবাদিক আনিছুর রহমানের আরেক
প্রতিপক্ষের সীমানায় ফেলে আরেকটি ঘটনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। এসময় সাংবাদিক আনিছুর রহমানের স্ত্রী বিলকিস আকতার ও বয়োবৃদ্ধ মাতা মরিয়ম খাতুন তাদেরকে নিষেধ করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে বিলকিস আকতার ও মাতা মরিয়ম খাতুন বলেন, ডালগুলো কাটার সময় তাদেরকে, "তোমরা গ্রাম আদালতে বিচার দিয়েছ, চেয়ারম্যান মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য তোমাদের অনেকবার পরিষদে উপস্হিত হতে বলেছিল। তোমরা অনুপস্থিত থেকে গাছের ডাল কাটতে পার না" বললে, উল্টো এই বিষয়ে কাউকে কোন ধরণের বিচার শালিস দিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে বাদীপক্ষের ফরহাদ (২৩) একই ওয়ার্ডের নম পাড়ার রুবেল, ৮ নং ওয়ার্ড বিচিন্না পাড়ার কালু। ডাল কাটা শেষে চলে যাওয়ার সময় ফরহাদ বলে, চেয়ারম্যান আমাদের কি করবে, দেখতেই'তো পারতেছিস আমরা বিচার দিয়ে তোদের হয়রানি করেই যাচ্ছি কিছুই করতে পারলিনা, আর পারবিও না। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানা কোর্ট কাচারিতে আসা যাওয়া করাতেই থাকব। কোন কাজ কর্ম করে খেতে দিব না। এই ভাবে একদিন তোদের টাকা পয়সা ধবংস হয়ে গেলে আমরা অন্যদের নিয়ে লুটেপুটে তোদের বসত ভিটা আত্মসাৎ করে খাব। ২০১৯ সালে তোমাদের মেরে থানায় মামলা নিতে দেই নাই আমরা। তা কি তোমাদের মনে নেই? উল্টো তোরা আমাদের মেরেছিস বলে থানায় মামলা করি (যাহার জিআর নং ৩৩৯/১৯ ইং)। তোমাদের ছেলে “সাংবাদিক আনিছুর রহমান” কে হাজত খাটিয়েছি। টাকা থাকলে সব করা যায়, যে গুলো আমরা করেছি। এই সব কিছু হজম করবি। ২০১৯ সালের নম্ভেবর হতে ২০২০ সালে আমার ভাই প্রবাসী সাজ্জাদ বিদেশ চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তোদের ছেলে আনিছুর রহমান কে জানে মেরে ফেলার জন্য রাস্তায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে দেখতে পেলে জানে মেরে ফেলতো। ভাগ্য ভালো আমার ভাইয়ের সামনে পড়েনি, আজকেও ডাল কাটলাম হেডামে পারলে কিছু করিস।
ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম সালাউদ্দিন কামাল বাদীপক্ষকে একটি নিদিষ্ট তারিখে পরিষদে উপস্থিত হতে বলেন। সেই দিন তারিখই প্রতিপক্ষরা উপস্থিত হলেও অনুপস্থিত থাকেন বাদী পক্ষ নুর হোসেন গং। পরবর্তীতে ৫ দিন পর সময় তারিখ দেন, সেই দিনও উপস্থিত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ এজাজ।
এই ভাবে একটি নিরহ পরিবারের উপর বার বার হামলা করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গাছের ডাল কেটে ফেলা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখে সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন, ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ ঘটনার পর পুনরায় আম গাছের ডাল কাটার অভিযোগ উঠে ফরহাদের বিরুদ্ধে। এসময় তাকে নিষেধ করলে চেয়ারম্যান কাটতে বলছে বলে বিভিন্ন হুমকি দেয় সাংবাদিক আনিসের পরিবারকে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কে,এম সালাউদ্দিন কামাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়ে তারা আমার সাথে সরাসরি কিংবা মোবাইলে ও যোগাযোগ করে নাই। ডাল কাটার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাইনি, তাদের দেওয়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে, গ্রাম আদালতে তাদের অনেকবার উপস্থিত হতে বলেছি। তারা উপস্থিত না হয়ে আমার কোন অনুমতি ছাড়াই গাছের ডাল কেটে অন্যায় করেছে। এদের খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মানবাধিকার ও গণমাধ্যম কর্মী সাংবাদিক আনিছুর রহমান বলেন, বিগত ছয় বছরের উদ্ধতকাল সময় ধরে ভূমিদস্যুদের সাথে একান্ততা পোষণ করে গ্রাম আদালতে অভিযোগকারি। আমরা ভাই বোন নয়জনের ১২ শতক বসত ভিটা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে ছয়টি গ্রুপ একত্রিত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে অন্তত ২৫ বারের অধিক হামলা করেছেন । হামলার পর করতে দেননি মামলা। মামলা করলে গুম ও খুনের হুমকি প্রর্দশন করতেন, এবং উল্টো মিথ্যা জিআর ৩৩৯/১৯ মামলা দিয়ে আমাকে হাজত খাটিয়েছেন। রাস্তা ঘাটে আমাকে খুজে বেঁড়ান জানে মেরে ফেলার জন্য। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত আরম্ভ হলেই আমার বাড়ির চারিপাশে বসত ভিটার আঙিনায় অভিযোগকারিগণ ও তাদের বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা। আমি কোথায় জানতে আমার বাড়িতে নিয়মিত খোঁজ নিতে আসেন। খুঁজতে থাকেন তন্ম তন্ম করে আমার নিজ এলাকায়ও রাত হলে বাড়ির চারপাশে বেড়ে যায় বহিরাগত মানুষের আনাগোনা তাদের হাতে থাকে লাটি, সোঠা, দা ও কিরিছ। চোখের সামনে পেলেই ঘটাতে পারে অনাকাংখিত দূর্ঘটনা। অনাকাংখিত দূর্ঘটনা এড়াতেই বয়োবৃদ্ধ মা, চট্টগ্রাম কলেজে মাস্টার্স পড়ুয়া স্ত্রী, প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১ শিশু কণ্যা, ১০ মাস বয়সী পুত্র সন্তান, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তার সংসারে ২ শিশু সন্তান, যৌথ পরিবারে রেখে নিজ জন্মভূমি বসতভিটা ছেড়ে বাইরে বাইরে দিনাতিপাত করছি বিগত ৬ বছর যাবৎ। তাদের বর্বরোচিত হামলা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে গ্রাম আদালত, থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে মিলেনি কোনো ধরণের সহযোগিতা। বিধায় বার বার তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রাম আদালত সহ বিভিন্ন দপ্তরে বানোয়াট মনগড়া অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন ৬ গন্ডা বসতভিটা ব্যাতিত তাদের আর কোন চাষাবাস কিংবা পুকুর, পাহাড়ি ভূমি নেই। সেখানে তারা পাঁচ ভাইয়ের সংসার ছাড়াও রয়েছে খালাত ভাই বোন চার জনের অর্ধেক অংশ ০৩ গন্ডা। বাকি ০৩ গন্ডা আমাদের ১২০ বছরের উদ্ধকাল যাবৎ বসবাস করে আসা সামান্য এই বসতভিটা বন্ঠন করলে প্রতি জনের ভাগ অংশ দাঁড়ায় ২.৬৬ করে যেখানে থাকার জন্য দুইটি ছোট রুম করলেই শেষ হয়ে যাবে। করা যাবে না বাথরুম ও গোসলখানা বর্তমান সময়ে গ্রাম অঞ্চলে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি করে থাকতে যেখানে ভূমি প্রয়োজন হয় ০৮ কড়া বা ০৪ শতক কিংবা দুই গন্ডা সেখানে আমরা ভূমিহীন পরিবারের ০২কড়া ৬৬ বসত ভিটি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে ভূমিদস্যুরা আমাদের পিছনে উঠে পড়ে লেগেছে। সকল ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বসতভিটা উদ্ধার পৃর্বক নির্বিচারে গাছের ডাল কাটার অপরাধে তাদের আশ্রয় পশ্রয় দাতাদের সহ সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের।
0 মন্তব্যসমূহ