জানা গেছে, মামলা থেকে রেহাই পেতে ভুক্তভোগীরা ঐসব সোর্স ও দালাল সিন্ডিকেটের চাহিবা মাত্র লক্ষ লক্ষ টাকা তাদের হাতে সঁপে দিচ্ছে। এসবের মধ্যে বিভিন্ন অপরাধী ও গ্রুপ লিডারদের সাথে যাদের সখ্যতা রয়েছে তাদেরকে পুলিশের গোপন তথ্য ও অভিযানের বিষয়টি অগ্রিম জানিয়ে দিচ্ছে। পেশাদার জুয়াড়ী, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা তাদের অবৈধ কাজ সেরে নিচ্ছে সোর্স ও দালাল সিন্ডিকেটের সতর্ক বার্তায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসি জানান, অপরাধীরা সম্ভাব্য গ্রেপ্তার সহ পুলিশি হয়রানি এড়াতে নিয়মিত মাসিক মাসোহারাও প্রদান করছে এসব সোর্স ও দালাল সিন্ডিকেটকে।
রামদাস ফাঁড়ি পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার নিত্যদিন যোগাযোগ রয়েছে এসব সোর্স ও দালালদের সাথে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আটক করছে অপরাধী ও নিরীহদের। নিয়মিত মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ৩৪ বানিজ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই টাকা পরে তাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হয়।
ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ফাঁড়ির গুটিকয়েক অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে এসব সোর্স ও দালাল চক্র কখনও মামা, কখনও ভাই অথবা দুলাভাই আবার কখনও খালু আবার কখনও বেয়াই সম্বোধন পূর্বক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে অনৈতিক বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক বিক্রেতা চক্রের সাথে রয়েছে এদের নিবীড় সম্পর্ক। ফলে অপরাধীরা নিয়ন্ত্রনহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপকর্ম। এসব সোর্স ও কতিপয় দালালদের দালালী সিন্ডিকেটের অপকর্মের কারণে সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে রামদাস ফাঁড়ি পুলিশের। এতে বাড়ছে অপরাধ, হয়রানীর শিকার হচ্ছে নিরহ জনগন।
এ বিষয়ে পুলিশের সুনাম রক্ষার্থে ও সাধারণ মানুষ হয়রানি বন্ধে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু ও কার্যকরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি। এছাড়াও ঘুষ লেনদেন মাসোহারা উত্তোলন সহ বিভিন্ন অনিয়মের সরেজমিন তদন্ত মতামত ও প্রমাণিত বিষয়াদির উপর ধারাবাহিক প্রতিবেদন চলবে। পর্ব-১
0 মন্তব্যসমূহ