স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নির্যাতনের, হত্যা ও ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি
অনুসন্ধানে, গত ১৩ জুন বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে চাউল বিতরণে দুর্নীতির বিষয়ে JATV তে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার জেরে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি গাজী গোফরানের বড় ভাই বোরহান উদ্দিনকে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে জেলে পাড়া বাজারে গতিরোধ করে ১ম দফায় হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। একই দিন পুনরায় তার বসত বাড়িতে গিয়ে ২য় দফায় হামলা চালায়। এসময় বোরহানের মাতা সুলতানা ইয়াছমিন রীনার হাতের মোবাইল ফোন ছুড়ে মেরে কাপড়চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে বোরহানের মাতা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে মো: বোরহান উদ্দিন জানান, তার ছোট ভাই গাজী গোফরানের দায়িত্বরত টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচারের জেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম তার সহযোগী আনোয়ারুল আজিম ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন নিয়ে জেলে পাড়া বাজারে গতিরোধ করে "তোর ভাই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিউজ করছে কেন?" এই বলে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি লাথি মেরে ও লাঠি দ্বারা আঘাত করে হ্নীলা ফুলা জখম করে এবং পকেটে থাকা ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বোরহান চিকিৎসার জন্য উপজেলায় থাকা অবস্থায় পুনরায় ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে বোরহানের বাড়িতে গিয়ে মাতা সুলতানা ইয়াছমিন রীনার হাতের মোবাইল ফোন ছুড়ে মেরে কাপড়চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এই বিষয়ে সুলতানা ইয়াছমিন রীনা বলেন, আমার ছোট ছেলে গাজী গোফরানদের চ্যানেলে নিউজ আসছে বলে আমার বড় ছেলেকে ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে জেলে পাড়া বাজারে হামলা চালায়। পরে আমাদের বসত বাড়ীতে এসে আমার মোবাইল ছুড়ে মেরে আমার কাপড়চোপড় টানা হেচড়া করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমার স্কুল পড়ুয়া পড়ুয়া মেয়েকে নির্যাতনের এবং আমাদেরকে হত্যা করবে ও ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে চলে যায়। বর্তমানে আমাদের পরিবার হুমকির মুখে ভয়ের মধ্যে আছি। পরে এই ঘটনায় বাদীনি হয়ে তিনি থানায় এজাহার দায়ের করেন বলে জানান।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার এ ঘটনায় থানায় সুলতানা ইয়াছমিন রীনার এজাহার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ