দিদারুল আলম বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর বাহারছড়া এলাকার মোল্লাপাড়ার জেবল হোসেনের ছেলে। সে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কক্সবাজার সদর শাখায় ফিল্ড অফিসার পদে কর্মরত ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘দিদারুল আলম তাঁর বিরুদ্ধে সাজা গোপন করে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কক্সবাজার সদর শাখায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কক্সবাজার সদর শাখায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছি।’
জানা যায়, বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর বাহারছড়া এলাকার মোল্লাপাড়ার জেবল হোসেনের ছেলে দিদারুল আলমের সাথে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাণীরহাট ইউনিয়নের সাতজহিরা এলাকার মো. ইউসুফের মেয়ে রুমি আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। তারা চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা চরপাড়া এলাকায় পাইলট টাউয়ারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্ত্রী রুমি আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলায় ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট পলাতক আসামি দিদারুল আলমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ১১(গ) ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওই মামলায় দিদারুল আলম ৫ বছর পলাতক ছিলেন।
বাঁশখালী থানার অপারেশন অফিসার কামরুল হাসান কায়কোবাদ বলেন, ‘পলাতক আসামি দিদারুলের বিরুদ্ধে একটি মামলায় দুই বছরের সাজা ছিল। তাঁকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
0 মন্তব্যসমূহ