বাঁশখালী উপজেলা আহলে-সুন্নাত ওয়াল জামা'আত এর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল


মোঃ শাহেদুল ইসলাম 'ত্বোহা': রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হচ্ছে, আমাদের জান আমাদের ঈমান। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নিয়ে কেউ একটা 'পু' শব্দও কটুভাবে উচ্চারণ করলে, তা আমরা মদিনার ঐ সবুজ গম্বুজের গোলামরা কোনো মতে মেনে নিতে পারি না। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বিরুদ্ধে কথা বলা মানে, আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলা। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শানে অবমাননা করা মানে, আমাদের বিরুদ্ধে করা। এমনকি, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শানে আগাত আনা মানে, আমাদের ঈমানের বিরুদ্ধে আঘাত আনা। আমাদের জান, আমাদের প্রাণ, আমাদের ঈমান, আমাদের আঁকা দো-জাহানে বাদশা হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নিয়ে শানে কেউ আঘাত করলে, তা আমরা ঘর কিংবা  দুনিয়ায় সেরা রাজপ্রাসাদেও আর বসে থাকতে পারি না। এমনকি সে ব্যাক্তি যদি, পুরা পৃথিবীর বাদশাও হয়। আমরা প্রতিবাদ করবোই করবো। 

হাদিস শরিফে রয়েছে, "হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে গালি দিলে কটুক্তি করলে, ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করা দোষের কিছু নই।"

প্রয়োজনে আমরা আমাদের দুনিয়াবি সব কিছু ত্যাগ দিয়ে এমনকি আমাদের মা-বাবাকেও পর্যন্ত ত্যাগ দিয়ে, দুষমনে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বিরুদ্ধে জিহাদ করবো। তবুও আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শানে অপমান সইবো না দুনিয়ায় আর রইবো না।

ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে  নিয়ে কটুক্তি, আউলিয়া-কেরামগণের মাজারে হামলা ও পবিত্র জশনে-জুলুসে হামলার প্রতিবাদে শনিবার (৫ই অক্টোবর ২০২৪ইং) বাংলাদেশ আহলে-সুন্নাত ওয়াল জামাআত 'বাঁশখালী উপজেলা শাখা'র উদ্যোগে  প্রতিবাদ সমাবেশ-এ বক্তারা এসব বক্তব্য দেন।

সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়, দুপুর ২টা থেকে সরকারি আলাওল ডিগ্রি কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণে। 

মাওলানা আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আহলে-সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাঁশখালী উপজেলা শাখার মুখ্যপাত্র অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম আশরাফীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীর আলম রেজভী, আব্দুল মালেক আশরাফী, মাওলানা নেছার উদ্দিন মুনিরী আল কাদেরী, মাওলানা বশির আহমদ, মাওলানা আবু বক্কর সিকদার, মাওলানা মমতাজুল হক নঈমী, মাওলানা আব্দুর রহিম সিরাজী, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম আল কাদেরী, মাওলানা ওয়াহিদ হাবিবী, হাফেজ কারী মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, এম মহিউল চৌধুরী, শাহজাদা কবিউল আলম আশরাফী, এডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী, ছাত্র-নেতা জাহেদুর ইসলাম, কুতুবউদ্দিন মিতালী, শহিদ রেজা, ইয়াছিন আরফাতসহ আগত সুন্নিজনতা।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে "আমরা সবাই নবীর সেনা-ভয় করিনা মরন যন্ত্রণা" স্লোগান'এ স্লোগান'এ বাঁশখালীর রাজপথ মুখরিত করে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ প্রদক্ষিণ করে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

উপস্থিত বক্তারা আরো বলেন, "শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে সুফিবাদে বিশ্বাসী মানুষের উপর বিভিন্ন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনেক জায়গায় হক্কানি অলিআল্লাহর মাজার ভাঙচুর করেছে। পবিত্র জশনে-জুলুশে পর্যন্ত হামলা করেছে। কয়েকজন নিহত ও শত শত সুন্নি মুসলমান আহত হয়েছে। এসব ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলেও, এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আজও যখন আমরা সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখনও প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বারবার ফোন করতেছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, কারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং কারা এসব ঘটনার পিছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে, তাদেরকে আমরা চিনি। সুতরাং, রাষ্ট্র কর্তৃক তাদেরকে যেভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণ করুন। সুন্নী জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটলে, পুরা দেশ অচল হয়ে যাবে। আমরা শুধু এখন কেন্দ্রের অপেক্ষায় আছি। কেন্দ্র থেকে একটু ইশারা আসলেও আমরা কাফনের কাপড় পড়ে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত আছি। সুতরাং সময় থাকতে এসব অপকর্মে জড়িত জালেমদের'কে আইনের আওতায় আনুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ